গত বছর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়, তখন ঘূর্ণাক্ষরেও কেউ ভাবতে পারেননি, সাড়ে ৯ মাসের মাথায় তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব অনতিক্রম্য পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। এ সরকারের ভিত্তি ছিল সশস্ত্র বাহিনী, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতৃত্ব ও রাজনৈতিক দলের সমর্থন। সমর্থন ছিল খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের, যাঁরা কোনো পদ চাননি, চেয়েছেন দেশটি ভালোভাবে চলুক।

প্রথম কয়েক মাস রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের একটা সমঝোতামূলক সম্পর্ক ছিল। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করতেন।
কিন্তু সময়ের ব্যবধানে দূরত্ব বাড়তে থাকে। গত বুধবার সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামানের বক্তব্যে বোঝা গেল, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গেও অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব বেড়েছে। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের ‘অন্ধকারে’ রেখে।